ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গুলশান স্পা সেন্টারে গ্রেফতার দুজনের রিমান্ড, ৮ জন কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
গুলশান স্পা সেন্টারে গ্রেফতার দুজনের রিমান্ড, ৮ জন কারাগারে প্রতীকী

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে নাভানা টাওয়ারে ‘হিজামা থেরাপি সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজ’ নামে একটি স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ম্যানেজারের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর ৮ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন— হিজামা থেরাপি সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজের মালিক রাজিয়া খাতুন ওরফে ফারিয়া এবং ম্যানেজার ইমরান খান।

আর কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন— মো. আল আমিন, রাকিবুল হাসান, আল আমিন, মুহিদ আলী মিঠু, হোসনে আরা খাতুন, লিলি, গীতি দেউরী ও জয়া চাম্বু।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই রেজাউল আলম ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এর মধ্যে ফারিয়া ও ইমরানের ৫ দিন করে রিমান্ড এবং অপর ৮ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, গুলশান থানাধীন নাভানা টাওয়ারে হিজামা থেরাপি সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের যুবতীদের একত্রিত করে অবৈধ দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত এবং পতিতাবৃত্তির জন্য প্রস্তুত রাখা অবস্থায় আসামিদের আটক করা হয়। তারা পতিতাবৃত্তির কথা স্বীকার করেছেন। ফারিয়া এবং ইমরান স্পা সেন্টারটিকে মিনি পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার করে অনৈতিকভাবে পরিচালনা করে আসছিলেন।

তাই মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, তাদের সাথে অপরাপর কেউ জড়িত আছে কিনা তা যা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ফারিয়া ও ইমরানের রিমান্ড আবেদন এবং অপর ৮ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

দুই আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর ৮ আসামিরও জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত দুজনের রিমান্ড ও আটজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশান-১ এর নাভানা টাওয়ারের লেভেল ২২/এ, ৪৫ নম্বর অ্যাপার্টমেন্টের ১৮/এ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও পতিতাবৃত্তির দায়ে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলাকে আটক করা হয়।

পরে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মানবপাচার দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।