ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পৌর এলাকার ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর হবে প্রাকৃতিক জলাধার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
পৌর এলাকার ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর হবে প্রাকৃতিক জলাধার

ঢাকা: মহানগর, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকায় অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসেবে রেকর্ড করা পুকুরগুলোকে প্রাকৃতিক জলাধারের সংজ্ঞাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
রায় পাওয়ার এক বছরের মধ্যে গেজেট প্রকাশের জন্য বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


 
এ বিষয়ে ৫ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া রায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়।   
 
রায়ে আদালত বলেন, মহানগর, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকায় অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসেবে রেকর্ড করা পুকুরগুলো রায় পাওয়ার এক বছরের মধ্যে জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর ২(চ) ধারায় প্রাকৃতিক জলাধারের সংজ্ঞাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের জন্য বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিবকে নির্দেশ দেওয়া গেলো।
 
আদালতে বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও বিবাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান। সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
 
বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মনজিল মোরসেদ জানান, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১২ সালে বরিশাল শহরের ঝাউতলা এলাকায় প্রায় শতবর্ষী একটি পুকুর ভরাট ও দখল বন্ধে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে একই সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রুল জারি করে আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।
 
পরবর্তীসময়ে রুল শুনানিতে অ্যাডেভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ আইন ১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর বিধান অনুসারে যে কোনো জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ ও ব্যক্তিগত পুকুর হলেও তা জলাধারের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত, সুতারং ভরাট করা যাবে না। বিবাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, পুকুরটি ব্যক্তিগত মালিকাধীন এবং মহানগরের মাস্টারপ্ল্যান অন্তর্ভুক্ত নয়, সুতরায় আইনটি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি আরও বলেন, বরিশালের দেওয়ানি আদালতে মামলা চলমান। সুতরাং রিট পিটিশন রক্ষনীয় নয়।
 
আইনের ব্যাখ্যা স্পষ্ট করনের জন্য রিট মামলায় তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগীর বক্তব্য শোনেন আদালত।
 
শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত চলতি বছরের ৫ মার্চ রায় দেন। রায়ে রুল যথাযথ করেন এবং পুকুরটির সীমানা বেআইনিভাবে অতিক্রম ও মাটি দিয়ে ভরাট করা থেকে বিরত থাকা এবং পুকুরটি রীতিমতো সংস্কারও নিরাপদ পানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।