ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গ্রেনেড হামলা: মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
গ্রেনেড হামলা: মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন আদালত চত্বরে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী

সিলেট: ২০০৪ সালে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় ১০ জন এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
 
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) চার দলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকের দু’টি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।


 
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
 
অভিযোগ গঠনের জন্য এদিন লুৎফুজ্জামান বাবর, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ মোট ১১ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
 
এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজে আদালতে হাজির হলেও বাকি সবাইকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাজির করা হয়।
 
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের ঈদ পরবর্তী জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া।

আহত কিবরিয়াকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। ওই হামলায় তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। আহত হন ৭০ জন।
 
ঘটনার পরদিন আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দু’টি মামলা করেন। পরে মামলা দু’টি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
 
এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন বাদী মজিদ খান। পরে ২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য ফের সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
 
মামলার পঞ্চম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেরুন্নেসা পারুল সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা তাজউদ্দিনের ভগ্নিপতি হাফেজ মো. ইয়াহিয়াসহ আবু বকর, দেলোয়ার হোসেন, শেখ ফরিদ, আবদুল জলিল ও মাওলানা শেখ আবদুস সালামকে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেনেড হামলা ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
 
এর আগে ২০০৫ সালের ১৮ মার্চ প্রথম দফায় ১০ জনের বিরুদ্ধে ও দ্বিতীয় দফায় ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ জন বাড়িয়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
 
তাদের মধ্যে দু’জন ভারতে মারা যান। আর তৃতীয় দফায় আসামির সংখ্যা আরও নয়জন বাড়িয়ে এ মামলায় মোট ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।