ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি মজনু

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় রোববার (২ নভেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এদিন কারাগার থেকে একমাত্র আসামি মজনুকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

তাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২১ অক্টোবর এ মামলায় চারজন সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন- স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডকারী ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন, ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. তৌহিদা বেগম, সঙ্গীয় ফোর্সের সদস্য সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গিয়াস উদ্দিন ও জব্দ তালিকার সাক্ষী সুমন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) এ তথ্য জানান।  

গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডি‌বির প‌রিদর্শক আবু বকর সি‌দ্দিক অ‌ভি‌যোগত্র দা‌খিল ক‌রেন।

গত ২৬ আগস্ট এ মামলার একমাত্র আসা‌মি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রী ধর্ষক হিসেবে মজনুকে শনাক্ত করেন।  

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
‌কেআই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।