ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অস্ত্র মামলায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীর জামিন নামঞ্জুর 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
অস্ত্র মামলায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীর জামিন নামঞ্জুর 

ঢাকা: চকবাজার থানার অস্ত্র মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।  

রোববার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এ আদেশ দেন।

 

দুই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গত শনিবার (১৪ নভেম্বর) তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার আইনজীবী প্রাণনাথ তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

গত ২৭ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দু’টি করে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব। গত ২৯ অক্টোবর এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র ও মাদক আইনে দু’জনের বিরুদ্ধে দু’টি করে চারটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোসহ প্রত্যেকের ১৪ দিন করে রিমান্ড চান। এরপর গত ৮ নভেম্বর গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলার বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে সেখান থেকে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস জব্দ করা হয়। এরমধ্যে দু’টি অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, একটি এয়ারগান ও বেশ কিছু বিদেশি মদ ও ইয়াবা রয়েছে। এছাড়া ৩৮টি ওয়াকিটকি সেট ও তিনটি ভিএইচএফ (ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি) ওয়াকিটকি বেজ স্টেশন জব্দ করা হয়।

অভিযানে ইরফান সেলিমকে মাদক সেবন ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮ মাসের সাজা দিয়েছেন। এছাড়া ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকে বেআইনি ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইরফানের বাসা থেকে জব্দ হওয়া দু’টি বিদেশি পিস্তল ও মাদকদ্রব্যের বিষয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে দু’টি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে।

এছাড়া গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম খানকে মারধর করেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িতে থাকা লোকজন। পরদিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। মামলায় ইরফান সেলিমসহ চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
কেআই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।