ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এজলাসে মজনুর অশ্রাব্য গালি, লাফিয়ে পড়ে মরার হুমকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এজলাসে মজনুর অশ্রাব্য গালি, লাফিয়ে পড়ে মরার হুমকি

ঢাকা: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনু রায়ের আগে কাঠগড়ায় অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এজলাসে ঢোকার আগেও তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গালি দেন, হৈচৈ করেন।

হুমকি দেন লাফিয়ে পড়ে মরার।

এসময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলতে থাকেন, তিনি নয়, অন্য চারজন ধর্ষণ করেছে। তাকে মারধর, অত্যাচার করে এবং পুলিশ ঘুষ খেয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে।  

তিনি লাফিয়ে পড়ে মরার হুমকিও দেন এসময়। মজনু বলেন, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের কাছে অভিযোগ করবেন।  

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এ রায় দেন।

এছাড়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেন।

গত ১২ নভেম্বর এই মামলার একমাত্র আসামি মজনুর আত্মপক্ষ সমর্থন এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।

গত ৫ নভেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ সাক্ষীর ২০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

চলতি বছর ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী ও ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী সাক্ষ্যে মজনুকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করেন।

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।   

রাত ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০  
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।