ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্লট বরাদ্দে অনিয়ম: ১ বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম: ১ বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

ঢাকা: পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগের মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।


 
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এ রায় দেন।
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কেএম সাইফুদ্দিন, দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
 
পারটেক্স গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত এমএ হাশেমের দুই ছেলে ও রাজউকের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলা করে।
 
মামলার আসামিরা হলেন- এমএ হাশেমের দুই ছেলে শওকত আজিজ ও আশফাক আজিজ, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক পাঁচ সদস্য এসডি ফয়েজ, একেএম ওয়াহেদুল ইসলাম, এসএম জাফর উল্লাহ, এইচএম জহুরুল হক ও রেজাউল করিম তরফদার।
 
এর মধ্যে শওকত আজিজ রাসেল মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। পরে এসডি ফয়েজ, একেএম ওয়াহেদুল ইসলামও আবেদন করেন।
 
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট শওকত আজিজের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করেন। বাকি দু’জনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। পাশাপাশি এক বছরের মধ্যে বিচারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন বলে জানান একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।  
 
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী রাজউকের চেয়ারম্যানথাকাকালে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে’ অন্যদের যোগসাজশে পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এমএ হাশেমের দুই ছেলে শওকতআজিজ ও আশফাক আজিজকে পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা করে মোট ২০ কাঠা জমির দু’টি প্লট বরাদ্দ দেন। অথচ তারা ওই প্রকল্পে শিল্পপতি কোটায় প্লট বরাদ্দের আবেদন করে প্লট পাননি। সে কারণে ওই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়ে জামানতের টাকা তুলে নেন। আবেদন প্রত্যাহারকারীরা বিবেচনাযোগ্য না হলেও তা রাজউকের বিশেষ বোর্ড সভায় এই বরাদ্দ অনুমোদনকরিয়ে নেওয়া হয়।
 
এ মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাটি এখন ঢাকার আদালতে বিচারাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।