ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অসদাচরণের অভিযোগ তদন্ত করে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনে দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থী ১০১ জন আইনজীবী।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়াসহ ১০১ জন আইনজীবীর স্বাক্ষরিত আবেদন রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পৌঁছানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনের অধীন ইলেকটোরাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের ভয়াবহ দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তথ্য-উপাত্তসহ প্রকাশ পেয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিতর্কিত পদ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার, সচিব এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে।
‘উল্লেখিত নানাবিধ গুরুতর অনিয়মের সাথে যুক্ত থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য কমিশনারগন সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। বিভিন্ন পেশাজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা তথ্য উপাত্তসহ ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করলেও কোনরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ’
আবেদনে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ আপনার পবিত্র দায়িত্ব। সংবিধানে উল্লেখিত প্রক্রিয়ায় ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল’ গঠন করে তদন্তের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের সাংবিধানিক পদ থেকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে, তদন্ত চলাকালীন সময়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রেখে তদন্তকালে দায়িত্ব পালনের জন্য একজন নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাসহ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচারণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এবং গত ১৭ জানুয়ারি দুই দফায় চিঠি দেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
ইএস/এমজেএফ