ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে আসামিপক্ষ।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আদালতের রায়ের আদেশের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আসামিদের মধ্যে যারা পলাতক আছেন এবং এখানে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের অবজারভেশন অনুযায়ী রায় দিতেই পারেন। সমাজে এমন হত্যাকাণ্ড ও অসঙ্গতির বিচার আমরাও চাই, কিন্তু ন্যায়বিচার চাই। এ রায়ে আসামিপক্ষ মনে করছে ন্যায়বিচার পায়নি।
আইনজীবী এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নেই। ঘটনাস্থলে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না, উচ্চ আদালতে আসামিদের আপিল করার অধিকার আছে। সে অনুযায়ী উচ্চ আদালতে গিয়ে আমরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামিরা ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন, সেই জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে আদালত রায় দিয়েছেন। তবে এই জবানবন্দি আসামিকে দীর্ঘদিন আটক রেখে রিমান্ডে এনে শেখানো জবানবন্দি।
আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট না, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। উচ্চ আদালতে আপিল করার আসামির অধিকার আছে, সে অনুযায়ী আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব।
এর মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক।
কারাগারে থাকা সব আসামিই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
পিএম/এমজেএফ