ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের আগে আদালতে উপস্থিত ছয় আসামিরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা ও হাসাহাসি করলেও রায় শোনার পর গম্ভীর হয়ে পড়েন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।
দুপুর ১২টার পর পর ৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। রায় শুনতে দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমানসহ আরও দুই স্বজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আদালতের হাজতখানা থেকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আসামিদের হাজির করা হয়।
এজালসে উঠানোর পর থেকেই আসামিদের অনেক নিশ্চিন্ত দেখা যায়। তখন আসামিরা একে অপরের সঙ্গে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই কথা বলছিলেন। এসময় তাদের আচরণে কোনো ধরনের ভীতি বা দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা যায়নি। কয়েকজন নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে হাসিহাসিও করছিলেন। শুধু তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেননি দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। বিজ্ঞ বিচারক আসার আগ পর্যন্তই তারা এমনটা করেন।
বিচারক দুপুর ১২টা থেকে যখন রায় পড়া শুরু করেন তখন থেকেই আসামিরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা ও হাসাহাসি বন্ধ করে মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকেন। রায় পড়া যত এগোচ্ছিল আসামিদের চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ তত বাড়তে থাকে।
বিজ্ঞ বিচারক যখন এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দায়ে আট জন আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন তখন এজলাসের থাকা ৬ আসামি নিস্তব্ধ হয়ে যান। তাদের মুখের হাসি ও উচ্ছ্বাস হারিয়ে যায়।
রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের একে একে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তাদের প্রিজনভ্যানে তুলে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। রায় শোনার পর থেকে প্রিজনভ্যানে উঠা পর্যন্ত আসামিদের কোনো কথা বলতেই দেখা যায়নি।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব।
এর মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক।
আরও পড়ুন>> দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
পিএম/এইচএডি/