ঢাকা: পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার দু’জন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলাদাভাবে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
তিনদিন রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর আসামিরা স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম সুকুমার মৃধা এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী অপর আসামি অনিন্দিতা মৃধার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২১ জানুয়ারি তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।
একই দিন ২১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়।
সকাল ১০টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়, জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ায় তাদের দুপুর ১টায় গ্রেফতার করেন সংস্থার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
এর আগে আদালত পিকে হালদারের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত। এ তালিকায় সুকুমার ও তার মেয়ে অনিন্দিতাও রয়েছেন। পরে এ দু’জনসহ ৬২ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করে দুদক।
প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্যবহার করে লিজিং কোম্পানি থেকে তিন হাজার ৫শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এর বড় অংশই পাচার হয়েছে বিদেশে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
কেআই/এএ