ঢাকা: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন দাখিলের এই দিন ধার্য করেন।
সোমবার এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক এদিন প্রতিবেদন দাখিল করেননি। তাই আগামী ৪ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
গত ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো একজনকে আসামি করা হয়। এরপর আদালত এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছিলেন।
এই মামলায় নিহতের বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, নুহাত আলম তাফসীর, সাফায়েত জামিল ও বান্ধবী ফারজানা জামান নেহা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আসামিদের মধ্যে মর্তুজা রায়হান চৌধুরী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুশুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে অধিক মাত্রায় মদপান করান।
এজহারে আরো বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এসময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তরুণী মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
কেআই/এএ