ঢাকা: বিজ্ঞান মনস্ক লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। এদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করবেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য দিনটি ধার্য করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমুম, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, শফিউর রহমান ফারাবী, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান৷ এদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক।
এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হবে বলে প্রত্যাশা রাষ্ট্রপক্ষের। ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। এ মামলার পলাতক আসামি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) প্রধান মেজর জিয়াউল হকের নির্দেশে এ মামলার আসামিরা ব্লগার অভিজিৎকে হত্যা করেন। তাই সব আসামির মৃত্যুদণ্ড হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
২০১৯ সালের ১৩ মার্চ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর একই বছর ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায়ের সাক্ষ্যের মাধ্যমে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। অবশ্য ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর অজয় রায় পরলোকগমন করেন।
গত ২০ জানুয়ারি মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে মোট ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে অভিজিৎকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় পরে অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
কেআই/এনটি