ঢাকা: অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এই রায় দেন।
এই মামলার বাদী ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় সাক্ষ্য দেন। এরপর একই বছর ৮ ডিসেম্বর অজয় রায় পরলোকগমন করেন। মামলার বাদী হিসেবে অধ্যাপক অজয় রায় মামলায় সাক্ষ্য দিলেও তার অবর্তমানে মামলার রায়ের দিনে অভিজিৎ পরিবারের কেউ আদালতে হাজির হননি।
তবে এর জন্য দায় নিতে রাজি নয় রাষ্ট্রপক্ষ। ট্রাইব্যুনালের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, রাষ্ট্রপক্ষকে এসব বিষয়ে দায় দিলে চলবে না। আমাদের কাছে তাদের একটি টিএন্ডটি নম্বর ছিল যা ফোন করে বন্ধ পেয়েছি। অভিজিতের ভাই অনুজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি আমেরিকার ঠিকানা দিতে চেয়েও দেন নাই।
অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমদ বন্যা সাক্ষ্য দিতে আসেননি। বন্যার মামার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওনাকে বলেছি কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই। বন্যার সঙ্গে টকশোতে একাত্তর টেলিভিশনে সংযোগ করানো হয়েছিল। আমি তাকে বলেছিলাম মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে, সাক্ষ্য দিতে আসেন। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, আমাদের সঙ্গে আমেরিকাতে যোগাযোগ করে সাক্ষী নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু আমরা বিদেশ থেকে কীভাবে সাক্ষ্য নিতে পারি? তবে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে।
তবে অভিজিতের পরিবারের কোনো লোক বা আত্মীয় স্বজন না আসায় অবাক আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
কেআই/কেএআর