ঢাকা: তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে দায়ীদের চিহ্নিত ও তাদের দায় নিরূপণ করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি চূড়ান্ত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং নামের এক কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ সদস্যের নাম সুপারিশ করেছিলো।
আদালতে বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। এ কমিটি এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়ও খতিয়ে দেখবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে পাঁচজনের নাম দিয়েছিলেন, তারা হলেন-বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান (সভাপতি), বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. সারোয়ার হোসেন (সদস্য সচিব), সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. কবির আহাম্মদ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪ এর মহাব্যবস্থাপক মো. নুরুল আমীন।
এ পাঁচজনের সঙ্গে হাইকোর্ট যে দুইজনকে যুক্ত করেছেন, তারা হলেন-সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মহিদুল ইসলাম ও সাবেক সচিব নুরুর রহমান।
এ কমিটি যে তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন সেগুলো হলো- বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড।
এ কমিটি তদন্তের স্বার্থে এ তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেও বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে বিদেশি অংশীদারি প্রতিষ্ঠান ‘টিজ মার্ট ইনকরপোরেটেড’র করা আবেদনের ধারাবাহিকতায় এ আদেশ আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
ইএস/ওএইচ/