ঢাকা: ২০০৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় গর্ভের সন্তানসহ এক পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুযারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহম্মেদ ও এবিএম বায়েজিদ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
আইনজীবীরা জানান, ২০০৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসিন্দা আক্তার এবং তার গর্ভবতী স্ত্রী ও আড়াই বছরের শিশু অর্না আক্তারকে হত্যা করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ মামলায় পরের বছর ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তার ভাই সিরাজুলসহ আট জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়।
কারাবন্দী আসামিরাও কারাগার থেকে আপিল করেন। উভয় আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ২০১২ সালে হাইকোর্ট আট জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। কিন্তু এরই মধ্যে কারাবন্দী অবস্থায় পাঁচজন মারা যান। বাকি তিন আসামির ক্ষেত্রে শুনানি শেষে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
যাদের সাজা কমানো হয়েছে তারা হলেন- সোহেল ও রাজীব। এ দুই আসামিকে কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পিয়াসকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
ইএস/আরআইএস