ঢাকা: করোনা ভাইরাস মহামারির বিস্তাররোধে চলাচলে সাতদিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে ৩৫ ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ চেয়ে মানববন্ধন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী বলেন, আমরা মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ৩৫টি ভার্চ্যুয়াল কোর্ট বসবে এ ঘোষণা চাই। আমরা ৩৫টি ভার্চ্যুয়াল আদালত চাই। কারণ সাধারণ সময়ে এ ৩৫টি কোর্ট ভার্চ্যুয়াল বিচার করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। আর নিম্ন আদালতেও ভার্চ্যুয়ালি খোলা থাকবে এ আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশা লকডাউন শেষ হলে সব কোর্ট নিয়মিত এবং ভার্চ্যুয়ালি চলবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ভার্চ্যুয়ালি বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ৪টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ জরুরি রিট মোশন গ্রহণ করবেন। জরুরি সব প্রকার দেওয়ানী মোশন গ্রহণ করবেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের দ্বৈত বেঞ্চ।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের দ্বৈত বেঞ্চ জরুরি ফৌজদারি মোশন গ্রহণ করবেন।
এছাড়া বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত আবেদনপত্র শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।
এর আগে রোববার সুপ্রিম কোর্ট এবং নিম্ন আদালত পরিচালনার বিষয়ে পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে জারি করা আপিল বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা হতে চেম্বার আদালত অতিব জরুরি বিষয়ে শুনানি করবেন।
হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ এপ্রিল থেকে এফিডেভিট জরুরি বিষয়ে রিট, দেওয়ানি ও ফৌজদারি সংক্রান্তে একটি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্তে একটি বেঞ্চ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুনানি করবেন।
নিম্ন আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে এবং অন্যান্য সব অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
ইএস/ওএইচ/