পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বাবুই পাখির বাসা ভাঙা ও দেড় শতাধিক পাখির ছানা হত্যার দায়ে তিন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার চাকমার ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ড দেন।
জানা গেছে, গত শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ও এর আগে দুই দিন বিভিন্ন সময় উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের হেমায়েত হোসেন মোল্লা ও তার ভাই লুৎফর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও সেখানে থাকা বাবুই পাখির ছানাগুলো হত্যা করা হয়। ঘটনাটি নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার জেরে সোমবার দুপুরে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার চাকমা সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা পান। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্তদের দণ্ড দেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে বোরো ধান চাষ করেন স্থানীয় হেমায়েত হোসেন মোল্লাসহ কয়েকজন কৃষক। গত কয়েকদিন ধরে একঝাঁক বিভিন্ন ধরনের পাখি সেই জমির বোরো ধান খেতে শুরু করে। ওই জমির পাশেই দুইটি তাল গাছে রয়েছে বাবুই পাখির প্রায় দুই শতাধিক বাসা। পাখিতে ধান খাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন ক্ষেত মালিক লুৎফর রহমান মোল্লা। তাই তিনি লোক নিয়ে দুই দফা ওই পাখির বাসা ও ছানা নষ্ট করেন। পরে শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবারও লুৎফর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে সুনিল বেপারী ও সুশিল মিস্ত্রী বড় একটি বাঁশ দিয়ে তাল গাছে থাকা বাবুই পাখির প্রায় দুই শতাধিক বাসা ভেঙে মাটিতে ফেলে দেন। এসময় ওই সব বাসায় থাকা বাবুই পাখির ছোট ছোট ছানাগুলোও মেরে ফেলেন তারা। এছাড়া কিছু ছানা মেরে পাশের খালে ফেলে দেন।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ওই তিন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের জেলহাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
আরএ