ঢাকা: আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে নামাজ-রোজা-কোরআন পড়ার সুযোগ চেয়েছেন নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি হয়।
রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারক মামুনুলকে বলেন, ‘আপনার কী কিছু বলার আছে। ’
জবাবে মামুনুল বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি প্রতি রমজান মাসে ছয় বার কোরআন শরীফ খতম দেই। রমজান মাস পবিত্র মাস। এই মাসে আমি যেন রোজা, নামাজ ও কোরআন পড়তে পারি তার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আবেদন করছি। ’
পরে মামুনুলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, সিএমএম আদালত এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, এই মামলা পুলিশ করেনি। প্রায় এক বছর আগে মামলা হলেও তিনি আদালতে হাজির হননি। এক্ষেত্রে প্রচলিত আইন আদালতের প্রতি তিনি সম্মান প্রদর্শন করেননি।
এরপর মামুনুল নিজে কথা বলেন এবং তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন শুনানি করেন।
তার আইনজীবী জয়নুর আবেদীন মেজবাহ বলেন, মামুনুল এই মামলার ঘটনাস্থলে ছিল না। রাজনৈতিক কারণে এক বছর পর তাকে এই মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। এই রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
শুনানি শেষে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে মামুনুলকে আদালতে আনা হয়। মামুনুলের আনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শুনানি শেষে তাকে ফের ডিবি অফিসে নেওয়া হয়।
রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুর থানায় হওয়া একটি হামলা ও নাশকতার মামলায় মামুনুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২১
কেআই/এইচএডি/