ঢাকা: অননুমোদিত মেডিক্যাল ডিভাইস আমদানি, করোনার মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্টিং কিট এবং রি-এজেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন মেয়াদ বসিয়ে বাজারজাতকরণের অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেফতার ৯ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন—বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. শামীম মোল্লা, ম্যানেজার মো. শহীদুল আলম, মো. মাহমুদুল হাসান, এক্সন টেকনলজিস অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি এস এম মোস্তফা কামাল, হাইটেক হেলথকেয়ার লিমিটেডের এমডি আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির, বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের ইঞ্জিনিয়ার মো. জিয়াউর রহমান, অফিস সহকারী মো. সুমন, হিসাবরক্ষক জাহিদুল আমিন পুলক, অফিস ক্লার্ক ও মার্কেটিং অফিসার মো. সোহেল রানা।
গত ১৭ এপ্রিল তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৬ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে ১৫ এপ্রিল বিকেলে র্যাব-২ এর একটি দল মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়ায় বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল, বনানী এলাকায় এক্সন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেড এবং হাইটেক হেলথকেয়ার লিমিটেডের ওয়্যারহাউজে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় অভিযান চালায়।
এ সময় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিশেষ ধরনের প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে ছাপিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া করোনার টেস্টিং কিট ও রি-এজেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর কাজ চলছে। ওয়্যারহাউজে মজুদ করা বেশিরভাগ মেডিক্যাল ডিভাইস অননুমোদিত এবং প্রায় সব ধরনের টেস্ট কিট ও রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ।
এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ কিট ও টেস্টিং ডিভাইসসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় পরে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২১
কেআই/এমজেএফ