ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাঁশখালীতে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় রিট আবেদন শুনবেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
বাঁশখালীতে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় রিট আবেদন শুনবেন হাইকোর্ট

ঢাকা: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে করা রিট শুনবেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি মঙ্গলবার কার্যতালিকায় থাকবে।

রোববার (২৫ এপ্রিল) আবেদনটি হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে এ রিট করা হয়।

আবেদনে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা এবং শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এছাড়া নিহতদের পরিবারকে তিন কোটি টাকা করে এবং আহতদের ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না সে বিষয়েও রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা কিংবা আদালতের মতামত অনুসারে যেকোনো পরিমাণ টাকা দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়েছে।  

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল এ বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন একটি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।

গত ১৭ এপ্রিল সকালে বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়। আহত হয় অনেক শ্রমিক। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

নিহতরা হলেন-শুভ (২৩), রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২) ও রায়হান (২০)।

পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মো. শিমুল (২৩) নামের আহত এক শ্রমিক মারা যায়।  

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবীর বাংলানিউজকে বলেন, শনিবারের ঘটনায় পুলিশ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। পুলিশের মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই থেকে আড়াই হাজার জনকে এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমন্বয়কের করা মামলায় ২২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।