ঢাকা: রাজধানীর ভাটার এলাকায় রাতে উচ্চশব্দে গানবাজনা ও উৎপাতে বাঁধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর হামলা ঘটনায় হওয়া মামলায় ছয়জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুন অর রশিদ রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে সাতদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক একদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাঝহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-মো. জীবন হোসেন, মো. আরিফুর রহমান সুনাম, মো. রহিম, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. আরাফাত রহমান মনি ও আবদুর রহিম।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে কয়েকজন ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা খাঁ-পাড়া আবুল বারেক খান রোডের বাদশার গাড়ির গ্যারেজের ভেতর সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গানবাজনা করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল। এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে। এরপরে রাত ১২টা ৫ মিনিটে সেখানে পুলিশ এসে উচ্চশব্দে গানবাজনা বন্ধ করতে বলে। কিন্তু আসামিরা তা না শুনে গান বাজাতেই থাকেন এবং পুলিশকে চলে যেতে বলেন। গানের শব্দে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে-এ কথা জানালে আসামিরা কর্নপাত না করে গান-বাজনা অব্যাহত রাখেন।
একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আসামিরা। এরপর অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জন এসে পুলিশের পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া করে ছিঁড়ে ফেলে। একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলীকে মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে ১ নম্বর আসামি মো. জীবন হোসেন এসআই মোহাম্মদ আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে মাথায় ও ডান হাতের তালুতে জখম করেন। এ ছাড়া অন্য আসামিদের এলোপাতাড়ি কিলঘুষিতে এসআই মোহাম্মদ আলীর বাঁ চোখের নিচের মাংসে মারাত্মক জখম হয়।
খবর পেয়ে ভাটারা থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এসআই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ভাটারা থানায় দণ্ডবিধির ১৪৩/৩০৭/৩৫৩ ধারায় মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
কেআই/ওএইচ/