ঢাকা: নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের নিয়োগের সুপারিশের রায় বাস্তবায়ন না করায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের ওপর শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ৩১ মে শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন উচ্চ আদালত।
রোববার (২৩ মে) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সময় পর্যন্ত এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ’র জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুইয়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
রিট আবেদনকারী শিক্ষকদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ (ফরহাদ)।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ (ফরহাদ) বলেন, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারীদের জন্য সুপারিশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্ত অনেক সময় পার হলেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন।
এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ৬ মে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সদনধারীদের মধ্যে রিটকারি প্রায় দেড় হাজার জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত ৩০ মার্চ প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি সাত দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ঠিক করা ছিল। পরে তা পিছিয়ে ৩১ মে দিন ঠিক করা হয়। একইসঙ্গে ওই তারিখ পর্যন্ত গত ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ’র জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে জানান ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ (ফরহাদ)।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২১
ইএস/এমজেএফ