ঢাকা: দুদকের মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রীর লায়লা পারভীনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আউয়াল দম্পতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান বুলু।
পরে দুদক আইনজীবী জানান, আইনে বিশেষ জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। কিন্তু তারা ৭৭ দিন পর আপিল করেছেন। এ কারণে হাইকোর্ট সরাসরি আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে আউয়াল দম্পতির ব্যাংক হিসাবসহ সম্পত্তি জব্দই থাকছে।
এর আগে দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রায় ৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দু’টিতে আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার এবং লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, একেএমএ আউয়াল অবৈধ উপায়ে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মোট ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিকানার তথ্য রয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় আলাদা মামলায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
**দুদকের মামলায় আউয়াল দম্পতির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
ইএস/এএ