ঢাকা: পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় হাজি মুসা ম্যানশনের কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনের মামলায় ভবন মালিক মোস্তাক আহমেদ চিশতিসহ দু’জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
সোমবার (৭ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মোস্তাক আহমেদ চিশতির পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বাদল ও তারেকের পক্ষে বর্তমান সভাপতি আবদুল বাতেল জামিন শুনানি করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, আসামিরা নির্দোষ। অহেতুক হয়রানি করার জন্য তাদের মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আসামিরা এজাহারনামীয় হলেও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ জামিনযোগ্য।
তারা আরও বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের উৎপত্তি। মোস্তাক আহমেদ চিশতি ভবন মালিক হলেও আগুনে পুড়ে বসতবাড়ি ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা জামিনে আছেন। তারাও জামিনের হকদার, যেকোনো শর্তে জামিনের প্রার্থনা করছি।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আদেশ দেন।
এ নিয়ে মামলার সাত আসামি জামিন পেলেন। গত ৪ মে মোস্তাফিজুর রহমান, ১২ মে মোস্তফা, ৬ জুন গাফফার, সাঈদ ও বাপ্পির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
বংশাল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
গত ২২ এপ্রিল সেহরির কিছু সময় আগে আরমানিটোলার ৬ তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে ভবনের নিচতলার একাধিক গোডাউনে রাখা রাসায়নিক কেমিক্যাল পুড়ে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। উপরের বাসিন্দারা ধোয়ায় আটকা পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। অগ্নিকাণ্ডে চার বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল রাতে অবহেলাজনিত মৃত্যু এবং অবৈধভাবে রাসায়নিক দ্রব্য রাখার দায়ে ভবন মালিক ও কেমিক্যাল গোডাউন মালিকদের বিরুদ্ধে বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী শিকদার মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
কেআই/আরবি