ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাতক্ষীরার ৪ জনের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
সাতক্ষীরার ৪ জনের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাতক্ষীরার আকবর আলী শেখসহ ৪ নামে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যলয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হক।

 

এটি তদন্ত সংস্থার ৭৯তম প্রতিবেদন। চার জনের মধ্যে আকবর আলী ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়। তিনি এখন নলতা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির। বাকি পলাতক তিনজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এ চার জনের নামে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর তদন্ত শুরু হয়। এ মামলায় ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়।

মামলায় সাত জনকে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগ আনা হয়।

দুই অভিযোগ হলো

এক. ১৯৭১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সময় ৪টার দিকে রহমতুল্লা মোড়ল ও তার ছেলে গোলামা মোস্তফা মোড়লকে সঙ্গে করে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন নলতা হাটে বাজার করতে যান। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আনছারুল মাহমুদ সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কে একটি লাইনের বাস-গাড়িতে পাকিস্তানি আর্মি আছে সন্দেহে গ্রেনেড ছুড়ে মারে। কিন্তু এতে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায়র প্রতিশোধ নিতে বিকেল ৫টার দিকে আসামিরা পাকিস্তানি আর্মি ইন্দ্রনগর মাদ্রাসায় একত্রিত হয়ে নলতা হাটে আক্রমণ করে। রাজাকাররা স্বরাব্দীপুর গ্রামের মাদার আলী গাজীকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় রাজাকারদের গুলিতে ইন্দ্রনগর গ্রামের আব্দুল রহমান ওরফে মেদু মোড়ল ও রহমতুল্লাহ মোড়ল গুরুতর আহত হন। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় নিজ বাড়িতে রহমতুল্লাহ মোড়ল মৃত্যুবরণ করেন।

দুই. ১৯৭১ সালে ৬ মে আনুমানিক ১২টার সময় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন ইন্দ্রনগর মাদ্রাসার রাজাকার ক্যাম্প থেকে আসামিরাসহ পাকিস্তানি আর্মি দেবহাটা থানাধীন হাদিপুর গ্রামের ঘোষবাড়িতে হামলা করে। সেখান থেকে নরেন্দ্রনাথ ঘোষকে আটক করে বাড়ির পেছনে নিয়ে গুলি হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তারা শরৎচন্দ্র ঘোষ, গোপিনাথ ঘোষ, হেমনাথ ঘোষ এবং ওয়াজেদ আলী বিশ্বাসকে আটক করে বাড়ির দক্ষিণ দিকে ডোবায় নিয়ে সারিবদ্ধভাবে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ফেলে রাখে। সেখানে নরেন্দ্রনাথ ঘোষের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বাধা দিতে গেলে আসামিরা তাকে আটক করে নির্যাতন করে। ঘোষ বাড়ির মালপত্র লুটপাট করে এবং অগ্নিসংযোগ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।