ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশুর অঙ্গহানি: ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২১
শিশুর অঙ্গহানি: ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুল

ঢাকা: বরিশালের মুলাদীতে পল্লি বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে হাত হারানো সাত বছরের শিশু মো. জুবায়েরের ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

তার বাবার করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাহবুব। তিনি জানান, ওই ছেলের অঙ্গহানির ঘটনায় দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব, বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুৎ উন্নয়নের চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনকে রুলের জবাবদিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাহবুব আরও জানান, শিশুটিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার বাম হাত পুরোপুরি কর্তন করা হয় ও ডান হাত অকেজো হয়ে গেছে।

‘মুলাদীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর দুই হাত হারানোর শঙ্কা’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন শিশুটির বাবা তোফাজ্জল হোসেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মুলাদীতে ঘরের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশু জুবায়েরের দুই হাত হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভবনের ছাদ থেকে পড়ার ভয়ে বিদ্যুতের তার ধরেছিল জুবায়ের। পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেলেও দুই হাত হারাতে যাচ্ছে সে। ১৪ অক্টোবর উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের আলীমাবাদ গ্রামের সরদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জুবায়ের ওই গ্রামের তোফাজ্জেল সরদারের ছেলে। সে আলীমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

তোফাজ্জেল সরদার জানান, ১৪ অক্টোবর তার ছেলে জুবায়ের বাড়ির ছাদে খেলতে যায়। হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলে ভবনের ওপরে থাকা বিদ্যুতের তার ধরে ফেলে। এতে সে বিদ্যুতায়িত হলে দুই হাত পুড়ে যায় এবং সে ছাদের ওপর ছিটকে পড়ে।

তিনি আরও জানান, ২০১১ সালে তিনি বাড়িতে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। ২০১৭ সালে বিদ্যুতের ৩৩ কেভি ভোল্টের লাইন নির্মাণের সময় তৎকালীন ঠিকাদার ভবনের ওপর দিয়ে তার নেয়। আমি বাধা দেই, কিন্তু ঠিকাদার কোনো কিছু শোনেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।