ঢাকা: যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ঠিক করেন।
আদালতে এ তথ্য জানান বনানী থানার (নারী-শিশু) সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক সাইফুর রহমান।
গত ৩ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবহা। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সুবহার সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্রান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হয়নি।
এর মধ্যে সুবহা জানতে পারে ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে হয়েছে এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এক পর্যায়ে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার।
পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ইলিয়াস।
পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চায়। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইলিয়াস সুবহাকে কিল-ঘুষি-লাথি ও চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে জখম করে। এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ব্যথার ওষুধ বলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। পরে সুবহা অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এদিকে সুবহার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
কেআই/জেডএ