ঢাকা: রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় অভিনেত্রী পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান।
এদিন পরীমনি ও কবীর হাওলাদারের পক্ষে বাদীকে জেরা করেন আইনজীবী মো. মাজেদুর রহমান মামুন। আসামি কবীর হাওলাদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমনির পক্ষে আংশিক জেরা করেছেন এ আইনজীবী।
এরপর পরীমনির পক্ষে অবশিষ্ট জেরার জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।
অপর আসামি পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে বাদীকে জেরা করেন আইনজীবী এস এম আখতারুজ্জামান হিমেল। এদিকে পরীমনি আদালতে হাজির হননি। তিনি তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর মাধ্যমে হাজিরা দিয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির বড় খালু কবীর হোসেন হাওলাদার। আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল। গত ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর ১৫ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন ও ১০ আগস্ট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ওই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২২
কেআই/আরবি