হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের ওপর হামলার অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির মদদে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে উপজেলা চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
শনিবার (৫ মার্চ) রাত ৯টায় উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে সৈয়দ ইসলাম হোসেন বাহুবল মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এতে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান মিয়া ও আলীফ সোবহান ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী হিরণ মিয়াসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শুক্রবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান মিরপুর বাজারে গেলে রায়হান ও হিরণ একটি ড্রেন পরিদর্শনের কথা বলে তাকে বাজারের পেছনে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তার ওপর হামলা করা হয়। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান জানান, রায়হান ও হিরণ আমাকে মারধর করলে আমি একজনকে ধরে ফেলি। এ সময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র বের করে এবং আমার সঙ্গে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির মদদে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মোবাইলফোনে বাহুবল উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. দুলাল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত দুইজন ছাত্রলীগ কর্মী বলে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারি বিরোধী বক্তব্য দেওয়া প্রতিবাদ করায় তার সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের ঝগড়া হয়েছে। তবে, হামলার ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
এএটি