ঢাকা: ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
রোববার (৬ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এসব মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
আসামি সাংবাদিক কাজল আদালতে হাজির হন। তবে এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। তাই আদালত আগামী ১২ এপ্রিল এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে তিন মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় এ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়াকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করায় ২০২০ সালের ৯ মার্চ রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা ১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
মামলা হওয়ার পর ২০২০ সালের ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন। পরদিন ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৫৩ দিন পর ২০২০ সালের ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
২০২০ সালের ৩ মে অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
প্রায় সাড়ে আট মাস কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান কাজল। পরে তিন মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করলে মামলাটি বদলি হয়ে বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
কেআই/আরবি