ঢাকা: নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ ও আনসার আল ইসলামের কেন্দ্রীয় সংগঠক মুন্সি ইকবাল আহমেদের (৬২) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ মার্চ) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান এ আদেশ দেন।
এদিন বিকেলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ইকবালকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় র্যাবের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাদরুজ জামান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তার পক্ষে শুনানিতে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
সিজেএম আদালতে সাভার থানার নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ওসমান মুন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১১ মার্চ ঢাকার সাভার থানার রাজাসন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৪।
গ্রেফতারের পর র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ইকবাল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের অন্যতম সংগঠক ও হুজি নেতা মুফতি হান্নানের আপন ভাই। আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশে এবং আফগানিস্তানে পলাতক থেকে প্রশিক্ষণসহ নতুন নতুন কৌশল রপ্ত করেছেন মুন্সি ইকবাল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাস ও নাশকতা সংশ্লিষ্ট চারটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা ছিলেন মুন্সি ইকবাল। ২০০৪ সালে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার পর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এ কারণে তিনি আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। মুন্সি ইকবাল সংগঠনের ৫/৬ জন সদস্যকে নিয়ে গত ১১ মার্চ রাতে বৈঠকে মিলিত হন। সংগঠক হিসেবে অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। তার মোবাইল থেকে বিভিন্ন উগ্রবাদী কথোপকথনের প্রমাণ জব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্সি ইকবাল আহমেদ জানান, গোপালগঞ্জের একটি কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। পরে ঢাকার সাভার এলাকায় বসবাস শুরু করেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি হয়েছে। তার আরও দুই ভাই মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
কেআই/আরবি