ঢাকা: স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
২০২১ সালের ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা করেন মিতুর বাবা।
ওইদিন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, দণ্ডবিধির ৩০২, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় বাবুল আক্তারসহ আট জনকে আসামি করে দায়ের করা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম সিকদার প্রকাশ মুসা (৪০), এহতেশামুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া (৪১), মো. মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলাম প্রকাশ কালু (২৮), সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সাকু (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)।
এদের মধ্যে সাইদুল ও শাহজাহান পলাতক রয়েছেন।
বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন মামলা দায়ের শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মিতুকে হত্যা করা হয়েছে। তাই বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছি।
তিনি বলেন, বাবুল আক্তারের সঙ্গে এক এনজিও কর্মীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় আমার মেয়ের সঙ্গে বাবুলের ঝগড়া হয়। মৃত্যুর আগে মিতু বিষয়টি আমাদের জানিয়েছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানেরও চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। বাবুল ও ওই নারী মিতুকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় মিতুকে। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
ইএস/জেডএ