ঢাকা: দেশের প্রচলিত মৌলিক আইনের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশে একটি কমিটি গঠনের দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ কমিটিকে অবিলম্বে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন উচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বাংলা বিভাগ, আইন কমিশনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে এ কমিটি করতে বলেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুসহ আদেশ দেন।
রুলে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় অর্থবহভাবে বাস্তবায়ন করতে দেশের প্রচলিত মৌলিক আইনের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
রিটের আগে এই ১০ আইনজীবী নোটিশ দিয়েছিলেন। নোটিশে বলা হয়, আদালতের যাবতীয় কার্যাবলি আইনের আলোকে পরিচালিত হয়। আদালতের কার্যক্রম সংক্রান্ত মৌলিক আইনগুলো হলো—দণ্ডবিধি, ১৮৬০, সাক্ষ্য আইন, ১৯৭২ চুক্তি আইন, ১৮৭২ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এবং তামাদি আইন, ১৯০৮।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ) রুলস, ১৯৮৮, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) রুলস, ১৯৭৩, ক্রিমিনাল রুলস এ- অর্ডারস, ২০০৯, সিভিল রুলস এ- অর্ডারস। অধিকাংশ আইন ব্রিটিশ আমলে এবং ইংরেজি ভাষায় প্রণীত।
নোটিশে আরও বলা হয়, আদালতে ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব আইনের গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। এ আইনগুলোর বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ ব্যতীত আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহারের আইনি বিধান সম্পূর্ণ অর্থহীন এবং অযৌক্তিক। এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। সর্বস্তরে বিশেষত আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে উক্ত মৌলিক আইন সমূহের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠপ্রকাশ অত্যাবশ্যক।
এমতাবস্থায় মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic Text) প্রকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়।
১০ আইনজীবী হলেন—মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো.আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
ইএস/এমজেএফ