ঢাকা: সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ভাই-ভাতিজাসহ তিনজন আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (১৬ মে) ঢাকার তিনজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর মধ্যে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ চৌধুরী এস কে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম ভাতিজা শঙ্খজিৎ সিনহা ও অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ইঞ্জিনিয়ার সুজন কুমার সিংহের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
দুদকের আদালত নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. জুলফিকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ তিনজনকে আদালতে হাজির করে সাক্ষী হিসেবে তাদের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত বছরের ১০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) এ মামলা করেন। মামলায় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, এস কে সিনহা ভাইয়ের নামে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া পূর্বাচলের প্লটটি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল থেকে উত্তরার সেক্টর-৪ এ স্থানান্তর করেন। পরে রাজউক থেকে অনুমোদনও করান। আর প্লটের যাবতীয় অর্থ মোট ৭৫ লাখ টাকা নিজেই পরিশোধ করেন। পরে ওই প্লটে নয়তলা ভবন নির্মাণ করেন।
দুদকের অনুসন্ধানকালে প্রকৌশলীর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ভবনের নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। এছাড়া প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউকে পরিশোধ করা হয় ৭৫ লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এস কে সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভাই ও নিজের আত্মীয়ের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনো বৈধ উৎস নেই বা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
গত বছরের ৯ নভেম্বর ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় পৃথক দুই ধারায় এস কে সিনহাকে ১১ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
কেআই/আরবি