ঢাকা: রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৬ মে ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তারিখ ধার্য ছিল।
কিন্তু এ দিন আসামিপক্ষ সময় আবেদন করলে বিচারক আগামী ২৬ মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভুঞা এ তথ্য জানান।
গত ২১ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর গত ৩ এপ্রিল কারাগারে থাকা সাত আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। ওই দিনই আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এরপর যুক্তিতর্কের তারিখ তৃতীয় দফায় পেছালো।
২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই সময় বিস্ফোরক আইনের ৩ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাই ৩ ধারার সঙ্গে ৬ ধারা যুক্ত করে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারার প্রয়োজনীয়তা না থাকায় তা বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০০১ সালে রমনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সাতজন নিহত ও ২০ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলায় ২০০৯ সালে চার্জ গঠনের পর প্রথম সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণে ধীরগতি চলে আসে।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার রায় হয় ২০১৪ সালের ২৩ জুন। রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
মামলায় সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনও পলাতক। অবশ্য অন্য মামলায় মুফতি আব্দুল হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
কেআই/এমজেএফ