ঢাকা: কম্পিউটারের মাধ্যমে পাসপোর্টের ঠিকানা পরিবর্তন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেফতার তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মাসুদ মিয়া, কামাল হোসেন ও গোলাম কিবরিয়া।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট, খিলক্ষেত ও কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পল্টন মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গ্রেফতারের বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ বলেন, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক এবং জালিয়াতি চক্র। কিছুদিন আগেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ছয়টি ভুয়া আবেদন পল্টন থানা থেকে প্রত্যাখাত হয়।
তিনি বলেন, গত ২০ এপ্রিল মাসুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার বরাবর অনলাইনে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন। যা যাচাই-বাছাইকালে আবেদনে প্রদত্ত ঠিকানা ভুয়া পরিলক্ষিত হয়। তখন আবেদনে সংযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলের প্রত্যয়নপত্রটি যাচাই করে প্রত্যয়নপত্রটির স্বাক্ষর ও প্রত্যয়নপত্রটি সঠিক নয় মর্মে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেলে ফার্মগেট থেকে আবেদনকারী মাসুদ মিয়াকে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থেকে কামাল হোসেন ও কেরানীগঞ্জ থেকে গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাসুদ মিয়ার বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য ৩০ হাজার টাকায় কামাল হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করেন। তার নামে নরসিংদীর মাধবদী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কামাল হোসেন আবার ২৮ হাজার টাকায় গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেন।
গ্রেফতারকৃত ও পলাতকদের নামে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
কেআই/এএটি