গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কামাল ফকির হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটিতে অভিযুক্ত ২৩ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৬ মে মো. কামাল হোসেন নিজ গ্রামের (তিতাগ্রাম) মো. ইসমাইল মোল্লার স্ত্রীর কুলখানি শেষে ফেরার পথে মামলার প্রধান আসামি চাঁন মিয়ার বাড়ির পাশে ওৎ পেতে থাকে। নিহত কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চাঁন মিয়া ও তার সঙ্গীরা কামালের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে কামালের ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কামাল লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে নিহতের বাবা মো. শাহাদাৎ ফকির বাদী হয়ে একই বছরের ১৮ মে কাশিয়ানী থানায় ২৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-৮)। মামলায় কাশিয়ানী থানা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে মামলার বাদী থানা তদন্ত প্রতিবেদনে না রাজি জানান। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। পিবিআই দীর্ঘ তদন্তের পর ২৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
দীর্ঘ শুনানির পর বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এর বিচারক ২৩ জনকে খালাস দিয়ে মামলার প্রধান আসামি মো. চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চাঁন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শহিদুজ্জামান খান পিটু বাংলানিউজকে জানান, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২২
এসআরএস