ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

অপহরণ মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
অপহরণ মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে অপহরণ মামলায় মো. স্বপন ওরফে আমির হোসেন (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার (৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। এ মামলায় মো. হেলাল মণ্ডল নামে অপর একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।  

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত স্বপন আদালতে অনুপস্থিত থাকলেও খালাসপ্রাপ্ত হেলাল মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।  

স্বপন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য আবিরনগর গ্রামের হাসমত আলী হাওলাদার বাড়ির মৃত আবদুর রবের ছেলে। হেলাল লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী। তার বাড়ি রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানায়। তবে ঘটনার ৯ বছরেও নিখোঁজ মোহাম্মদ আলীর কোনো সন্ধান মেলেনি।  

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, এ মামলায় তিনজন আসামির মধ্যে প্রধান আসামি মো. স্বপনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি মো. হেলাল মণ্ডল খালাস পেয়েছেন এবং তৃতীয় আসামি মামলা চলাকালীন ২০১৪ সালের ৬ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ মে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় একই বছরের ১৭ নভেম্বর তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার নয়ন বাদী হয়ে মো. স্বপন, হেলাল মণ্ডল ও স্বপনের ভাই মো. আলমগীরের নামে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে পাওনা টাকা চাওয়ায় মোহাম্মদ আলীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ মামলায় পুলিশ স্বপন ও হেলালকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। এরপর থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত স্বপন পলাতক রয়েছেন।  

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ পরিদর্শক মো. আবু তাহের ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল স্বপন ও হেলাল মণ্ডলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি এবং স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে স্বপনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং হেলালকে বেকসুর খালাস দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।