ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বীকে মারধরের ঘটনায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দুই নেত্রীসহ ৫ জনের বিচার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এদিন আসামিপক্ষে আইনজীবীরা চার্জ শুনানি পেছাতে সময় আবেদন করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী চার্জ গঠনের আর্জি জানান। শুনানি শেষে বিচারক সময় আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
শুনানিকালে জামিনে থাকা ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচার শুরু হওয়া পাঁচজন হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশি, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও শামসুন নাহার হল শাখা (মেয়াদোত্তীর্ণ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহ জালাল, মো. এনামুল ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-সম্পাদক শেখ তানসেন।
গত বছর ২২ ডিসেম্বর মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই সময় তন্বী অভিযোগ করেন, বেনজির হোসেন নিশি ও জেসমিন শান্তা তাকে ফোন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে যেতে বলেন। সেখানে গেলে তাকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তারা মারতে উদ্যত হলে তন্বী পালানোর চেষ্টা করেন। তারা তাকে ধাওয়া করে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে ধরে বেধড়ক মারতে থাকেন। এ সময় দুজন ছেলে তাকে ঘিরে রাখেন।
একপর্যায়ে তন্বী মাটিতে পড়ে গেলে শান্তা পায়ে জোরে চাপ দিয়ে ধরে রাখেন। নিশি এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকেন। গলায় পা দিয়ে চাপ দেওয়াছ গলা দিয়ে রক্তও বেরিয়ে আসে। এছাড়া তার পা-মাথায় আঘাত করে। এসব অভিযোগ এনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ফাল্গুনী দাস আদালতে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই এই পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২২
কেআই