ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জুরাইনে হামলা: এক আইনজীবীর জামিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
জুরাইনে হামলা: এক আইনজীবীর জামিন

ঢাকা: রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টো পথে আসা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় হওয়া মামলায় আইনজীবী ইয়াসিন আরাফাত ভূঁইয়াকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৪ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেখা করা শর্তে ৫ হাজার টাকা বন্ডে আদালত জামিন দিয়েছেন।  

আসামির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী নজিবউল্যাহ হিরু, আসাদুজ্জামান রচিসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।  

৮ জুন ইয়াসিন আরাফাতসহ পাঁচজনের তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন একই আদালত। যার মধ্যে একজন আইনজীবী ও একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ছিলেন। আইনজীবীদের রিমান্ডের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফজলে এলাহী। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চ মামলার নথি তলব করে রিমান্ড প্রশ্নে রুল ইস্যু করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে গেলে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ নিম্ন আদালতে আইনজীবীদের পক্ষে জামিন আবেদন করার পরামর্শ দেন। এরপর একইদিনে নিম্ন আদালত তাদের জামিন দিলেন।  

৭ জুন সকাল পৌনে ১০টার দিকে জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টোপথে আসছিল একটি মোটরসাইকেল। তাতে এক নারীসহ দুজন আরোহী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোটরসাইকেলচালকের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। যাত্রীরা ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরে দুজনকে পুলিশ বক্সের নেওয়া হলে সঙ্গে থাকা নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।

এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে এলাকাবাসী সার্জেন্টকে মারধর করে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার মধ্য থেকে একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করেন।

সার্জেন্টকে উদ্ধারে আসা ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্রকেও বেধড়ক মারধর ও ধাওয়া করা হয়। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।

আহত তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে সার্জেন্ট আলী হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে।  

ওইদিন রাতেই তিনজনের নাম উল্লেখসহ ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
কেআই/ এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।