ঢাকা: ঢাকার দোহারের মৈনট ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ১৫ আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৬ জুলাই অপর একটি আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান। সেই রিমান্ড শেষে এদিন ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন দোহার থানার কুতুবপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শামসুল আলম।
আসামিপক্ষে আইনজীবী প্রণব কুমার দে রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, মো. রুবেল, মো. সজীব, মো. নুরজামান, মো. নাসির, মো. মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান।
ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য জানান।
গত ১৫ জুলাই স্থানীয় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান বুয়েট শিক্ষার্থী সানি। এ সময় তিনি পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হন। পরে তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ নম্বরে ফোন করে সানির নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ফায়ার সার্ভিসকে জানান। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) ১১টা ২৬ মিনিটে পদ্মা নদী থেকে সানির মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে দুর্ঘটনা নয়, বন্ধুরা পরিকল্পিতভাবে পদ্মা নদীতে সানিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করেছেন- এমন অভিযোগে তার বড় ভাই হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে ১৫ জুলাই দোহার থানায় একটি মামলা করেছেন।
বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সানি। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর হলেও তিনি রাজধানীর হাজারীবাগে থাকতেন।
>> সেলফি তুলতে গিয়ে পদ্মায় নিখোঁজ বুয়েট ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
>> পদ্মায় ডুবে বুয়েট ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ বন্ধু গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
কেআই/এসআরএস