ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বগুড়া: বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৬ বছর পর উজ্জ্বল প্রামাণিক (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।  

রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এ কে এম ফজলুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।


আদালত সূত্রে জানা যায়, উজ্জ্বল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছে। রায়ে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত।  

খালাসপ্রাপ্ত হলেন- উজ্জ্বলের ভাই হিরা প্রামাণিক, উজ্জ্বলের মা আলেয়া বেওয়া, কাহালু উপজেলার আলোক্ষছত্র এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন লাবু এবং তার স্ত্রী লাভলী বেগম ৷

এর আগে, ২০০৬ সালের জুন মাসে উজ্জ্বলের সঙ্গে সদর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকার আকবর আলী শেখের মেয়ে আলো বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় এর পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে উজ্জ্বলকে। পরে বিদেশ যাওয়ার জন্য উজ্জ্বল আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডাসহ সালিশ হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা না দিলে আলোকে তালাক দেবে বলে উজ্জ্বল জানান এবং আলো বেগমের পরিবার থেকে আর কোন টাকা দেওয়া হবে না বলেও উজ্জ্বলকে জানিয়ে দেন।  

এদিকে ২০০৬ সালের ১ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে আলো বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১৮ আগস্ট নিহত আলো বেগমের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম উজ্জ্বলকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর রোববার দুপুরে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত উজ্জ্বলকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

নিহত আলোর স্বজনরা জানান, আলোর বাবা-মা মারা গেলেও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় তারা মামলা পরিচালনা করে আসছেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ বগুড়ার পিপি নরেশ চন্দ্র মুখার্জী জানান, ২০০৬ সালের মামলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পলাতক স্বামী উজ্জ্বলকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।