ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সার কেলেঙ্কারি: বিএডিসির ২ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন, ৩ জনের ৭ বছর করে জেল 

ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
সার কেলেঙ্কারি: বিএডিসির ২ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন, ৩ জনের ৭ বছর করে জেল 

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএডিসির সার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

এসময় মামলার আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কিশোরগঞ্জ বিএডিসির (সার) সাবেক যুগ্ম পরিচালক আহাদ আলী ও ভৈরবের বিএডিসির (সার) ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম।

সাত বছর করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নরসিংদী জেলার হাজিপুর নয়াপাড়া এলাকার মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে মো. হারিছুল হক, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া এলাকার মৃত চুনীলাল রায়ের ছেলে লিটন রায় ও নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার মো. মজিবুর রহমান খানের ছেলে সারোয়ারুল আলম সবুজ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মজুদ সার না থাকায় সারের ঘাটতি ধরা পড়ে। এ নিয়ে বিএডিসির (সার) যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ শেখ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)  তদন্ত করে। ২০১৫ সালের ১০ জুলাই দুদকের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হয়। মামলা চলা অবস্থায় দুই আসামি খোরশেদ আলম ও রতন মিয়া মৃত্যুবরণ করায় আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। আদালতে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এ রায় দেন।  

মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী শফিকুল হাসান। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলুল হক ও অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন ভূঁইয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।