ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বাবুলের ভাই-সমাজসেবা কর্মকর্তাকে ডেকেছেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
বাবুলের ভাই-সমাজসেবা কর্মকর্তাকে ডেকেছেন হাইকোর্ট

ঢাকা: সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানের বক্তব্য রেকর্ডের বিষয়ে জানতে বাবুলের ভাই এবং মাগুরা জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে ডেকেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৭ আগস্ট তাদের হাইকোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে।

বুধবার (২৭ জুলাই) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

পরে আইনজীবী শিশির মনির জানান, শিশুদের বক্তব্য রেকর্ডের সময় উভয়পক্ষ প্রভাব বিস্তারের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। তাই এ বিষয়ে জানতে বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও মাগুরার সমাজসেবা কর্মকর্তাকে ডেকেছেন হাইকোর্ট।

গত ১৬ মার্চ দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আবেদন (রিভিশন) করেন বাবুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান। শিশুরা বর্তমানে মাগুরায় দাদার সঙ্গে থাকেন।

আবেদনের পর আইনজীবী শিশির মনির জানিয়েছিলেন, শিশু আইন অনুসারে শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সমাজসেবা কর্মকর্তা, শিশুদের অভিভাবক ও শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। তবে ১৬ মার্চ দেওয়া আদেশে এই বিষয় উল্লেখ না থাকায় হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

শিশুদের দাদা ও চাচার করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ জুন বুধবার হাইকোর্ট শিশু আইনের বিধানাবলী অনুসারে মাগুরা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, একজন নারী পুলিশ সদস্য এবং শিশুদের দাদার উপস্থিততে শিশুদের বক্তব্য রেকর্ড করতে আদেশ দেন।

এ আদেশ অনুসারে ৪ জুলাই পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে শিশুদের বক্তব্য রেকর্ড করেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মিতুকে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।

মিতু হত্যার পরদিন ২০১৬ সালের ৬ জুন তার স্বামী বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই এই মামলায় গত বছরের ১২ মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করা হয়। মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলে ২০২১ সালের ৬ মার্চ আদালত তা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে বাবুল আক্তারের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেননি।

আদালতের নির্দেশে গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
ইএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।