কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় কিশোরী ধর্ষণ মামলায় সুজন (২৬) নামে প্রতিবেশী এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সুজন দৌলতপুর উপজেলার আলী নগর গ্রামের বাসিন্দা শাহারুল মণ্ডলের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাড়িতে বাবা-মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতিবেশী যুবক সুজন বাদিনীর কিশোরী কন্যাকে (১৪) ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের অন্যান্য প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সুজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীদের সাহায্যে আহত মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা গৃহকর্মী মঞ্জুরা খাতুন বাদী হয়ে সুজনকে একমাত্র আসামি করে দৌলতপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলাটি নিতে গড়িমসি করলেও অবশেষে ঘটনার পর চারদিন অতিবাহিত হলে ৫ম দিন ০২ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে বাদীর এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ষক সুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুর রহমান।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম নিশ্চিত করে বলেন, ‘দৌলতপুর থানার কিশোরী ধর্ষণ মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি সুজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজার আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
আরএ