ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নাইকো মামলা: খালেদার অব্যাহতির আবেদনের আংশিক শুনানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২২
নাইকো মামলা: খালেদার অব্যাহতির আবেদনের আংশিক শুনানি

ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদনের আংশিক শুনানি হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের-২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ শুনানি হয়।

 

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার শুনানি করেন। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার অনুপস্থিতিতে এ শুনানি হয়।  

আবেদনের পক্ষে আংশিক শুনানি শেষে সময় চান আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।  

তিনি আদালতকে জানান, খালেদা জিয়ার পক্ষে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী অধিকতর শুনানি করবেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। তাই শুনানির জন্য সময়ের প্রার্থনা করছি।  

অপরদিকে দুদক কৌশলী মোশাররফ হোসেন কাজল অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ করে আসামিদের উপস্থিতিতে আদেশের জন্য দিন ধার্য করার আর্জি জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন শুনানির পরবর্তী ধার্য ধার্য করেন।  

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া এসব তথ্য জানান।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।