ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

শেওড়াপাড়ায় বর্জ্যের ভাগাড় নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
শেওড়াপাড়ায় বর্জ্যের ভাগাড় নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা: রাজধানীর পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকার ইয়ুথ টাওয়ার গলির (স্কয়ার-২ সংলগ্ন) এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য রাখার জন্য ভাগাড় নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন।

 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও আইনজীবী আব্দুল হাই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জনান, ভাগাড় নির্মাণ কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে ওই ভাগাড় নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আর রুলে আবাসিক ভবন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের পাশে ওই এলাকায় ভাগাড় নির্মাণের কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চেয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ২ আগস্ট শিরোনামে ‘শেওড়াপাড়ায় বর্জ্যের ভাগাড় নির্মাণে বাসিন্দাদের আপত্তি’ শিরোনামে প্রথম আলো অনলাইনে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।

ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিনসহ ওখানকার ১০ বাসিন্দা রোববার রিট করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহস্থালির বর্জ্য রাখার অস্থায়ী ভাগাড় বা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছেন রাজধানীর পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকার ইয়ুথ টাওয়ার গলির বাসিন্দারা। ডিএনসিসির মেয়র ও স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে ভাগাড়ের নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য লিখিত আবেদনও করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  

মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে করা আবেদনে এলাকাবাসীর পক্ষে বলা হয়, নির্মাণাধীন ভাগাড়ের চার মিটারের মধ্যে আবাসিক এলাকা। কাছেই অন্য একটি বেসরকারি বিদ্যালয়। তাই সেখানে ভাগাড় নির্মাণ করা হলে, পচা বর্জ্য থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে বসবাসের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। যা পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।

আবেদনে আরও বলা হয়, গলির রাস্তার প্রশস্ততা কম। কোনোমতে একটি প্রাইভেট কার চলতে পারে। ভাগাড় থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিবহনে ওই রাস্তায় বর্জ্য পরিবহনের ভ্যান ও বড় যানবাহন চললে রাস্তাটি এলাকাবাসী ও জনসাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাবে। এ ছাড়া ওই রাস্তায় শিশু ও বয়স্করা সকাল-সন্ধ্যা হাঁটাহাঁটি ও দৌড়াদৌড়ি করে শরীরচর্চা করেন। ভাগাড়টি চালু হলে সেটি
করাও সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।