ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা, উদঘাটন হওয়া উচিত: প্রধান বিচারপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা, উদঘাটন হওয়া উচিত: প্রধান বিচারপতি

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পেছনে কলকাঠি কারা নেড়েছেন তা উদঘাটন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর ‘বিচারক জীবনের কথা’ লেখা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

 

আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি বোরহান উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক, গবেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমার কাছে মনে হয় বাংলা, বাংলার মাটি, বাংলার বাতাস, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাংলা ভাষা, ১৯৭১ সালে জন্ম হয় বাংলাদেশের। সে জন্য বাংলাদেশের কথা বলতে গেলে, বাংলা ভাষার কথা বলতে গেলে, বাংলার মানুষের কথা বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ফিরে এসে খুব গর্ব করে বলেছিলেন ‘সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি’। কবিগুরুর এ বাণী আজ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বাঙালিরা আজ মানুষ হয়েছে। বাঙালিরা কি আসলেই মানুষ হয়েছে? পঁচাত্তরের ঘটনায় কি মনে হয় বাঙালিরা মানুষ হয়েছে? কারণ বঙ্গবন্ধুকে যারা গুলি করেছে তারা বাঙালি। বঙ্গবন্ধুকে সামনে থেকে যারা গুলি করেছেন, তারা স্বীকার করেছেন যে আমরা খুন করেছি। প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু কি তারাই? নাকি অনেক বড় চক্র এর পেছনে কাজ করেছে, যেটি এখনও উদঘাটন হয়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছেন তা উদঘাটন হওয়া উচিত।

মামলার নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, গত ছয় মাসে অধস্তন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। ৩০ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। এটা অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফল। তাদের এই পরিশ্রমের কথা সাংবাদিকেরা লিখেন না। আমরা বাহবা চাচ্ছি না। কিছুটা হলেও গতি বেড়েছে। মানুষের দুর্গতি কিছুটা হলেও কমেছে। আসুন সবাই মিলে চেষ্টা করি যাতে তাদের যত দ্রুত সম্ভব মানুষকে আদালতের বারান্দা থেকে বাড়ির বারান্দায় ফেরত পাঠাতে পারি।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, একটি কমিশন হওয়া উচিত। কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, দেশি-বিদেশি কারা সম্পৃক্ত ছিল। একটি কমিশনের মাধ্যমে এটি উদঘাটিত না হলে আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে না যে কী ঘটনাটি সেদিন ঘটেছিল। শারীরিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে কয়েকজন সামরিক বাহিনীর লোক। তাদের বিচার হয়েছে, ফাঁসি হয়েছে। এটাই কী যথেষ্ট? ইতিহাসকে সঠিক পথে আনার জন্য আমার মনে হয়, আমি যে প্রস্তাব রেখে গেলাম সরকার এটি বিবেচনা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
ইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।