ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

গার্ডার দুর্ঘটনা: ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টের নজরে আনলেন আইনজীবীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
গার্ডার দুর্ঘটনা: ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টের নজরে আনলেন আইনজীবীরা

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনা উচ্চ আদালতের নজরে এনেছেন তিন আইনজীবী।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এনে স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করেন তারা।

 

তখন আদালত তাদেরকে এ বিষয়ে লিখিত আকারে আবেদন নিয়ে যেতে বলেন।

এর মধ্যে আইন ও সালিস কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীনুজ্জামান ও জামিউল হক ফয়সাল।

আর ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেনও বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছেন।

পরে শাহীনুজ্জামান জানান, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে স্বপ্রণোদিত আদেশ চেয়েছিলাম। আদালত আবেদন করতে বলেছেন। আমরা এখন এই দুই সংগঠনের পক্ষে রিট প্রস্তুত করতেছি। প্রস্তুত হলে আবেদনটি দাখিল করবো।

এর আগে, এ ঘটনায় সোমবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্ণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা (নং-৪২) দায়ের করেন।

মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন জানান, উত্তরার দুর্ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, সিজিজিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন।

নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), ফাহিমা, জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। তাদের মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

গাড়িতে থাকা হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে নবদম্পতি গুরুতর আহত হয়ে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্বজনরা জানান, ফাহিমা হলেন নববধূ রিয়া মনির মা। আর ঝর্ণা হলেন তার খালা। রুবেল সম্পর্কে ফাহিমা-ঝর্ণার বেয়াই। জান্নাত ও জাকারিয়া ঝর্ণার সন্তান। ফাহিমা-ঝর্ণাদের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে। আর রুবেলের বাড়ি মেহেরপুরে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad